বললো ভক্ত করজোড়ে
– মানিক দাক্ষিত
স্বার্থের তরে মানত করে
বললো ভক্ত করজোড়ে,
“দে-না মা তোর সন্তানেরে
মনের ইচ্ছে পূরণ করে!
দিতে পারিস যদি আমায়
অনেক টাকা, গাড়ী-বাড়ী,
দেবোই তোকে জোড়া পাঁঠা
বাড়তি পাবি নতুন শাড়ী।”
লজ্জা-ঘেন্নায় মা রেগে কয়–
“স্পর্দ্ধা তোদের বলিহারী,
আকার-প্রকার মানুষ হলেও
নয়কো আচার মানুষেরি।
তোরা হাড় বজ্জাত ধূর্ত্ত লোভী
আমাকেও দিস ঘুষের কড়ি,
অহং তোদের কোন সীমানায়
ভেবেই আমি মর্মে মরি।
এই জগতের সব জীবেদের
আমি হলেম জগন্মাতা,
আমার সন্তান বলি দিয়ে
খুলিস নিজের পূণ্যি খাতা?
আমার ছেলের রক্তে রাঙাস
চোখের সামনে আমার উঠান,
বলতে পারিস এ-অনাচার
সইবে কেমন আমার পরাণ!
পশুবলির কথা লেখা
আছে বিধান শাস্ত্রমতে,
সে-পশুটা এ-পশু নয়
আছে সবার এই মনেতে।
মনের ভেতর থাকা পশু
যেদিন পারবি বলি দিতে,
মহাজ্ঞানীর তকমা নিয়ে
সেদিন পারবি ‘মানুষ’ হতে।”
বক্তব্য যথার্থ। বামুনের গুলো বুঝলে তো সমাজ অনেক দিন আগেই উন্নত হ’ত।